সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার নলকা ইউনিয়নের কাঁচা রাস্তায় ভোগান্তিতে ৪ গ্রামবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার নলকা ইউনিয়নের সুজাপুর গ্রামের কাঁচা রাস্তায় যুগ যুগ ধরে ভোগান্তির সঙ্গী হয়েছে ৪ গ্রামের জন সাধারণ। তিননান্দিনা, সুজাপুর, চকমনোহারপুর, রতনকান্দি হইতে পাঁচলিয়া বাজার যাওয়ার তিননান্দিনা খোলা পাড়া খেওয়া ঘাট হতে সুজাপুর জামে মসজিদ সংলগ্ন সুজাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় অভিমুখী চকমনোহারপুর আবুলের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার পা রাখার শুরুতে করুন বেহাল অবস্থা ও আবুলের বাড়ির সামনে দিয়ে নলকা ফুঁলজোর ডিগ্রি কলেজ হতে সাহেবগঞ্জ বাজার অভিমুখী পাকা রাস্তা চলে গেছে আর চকমনোহারপুর আবুল কালাম আজাদ উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন চকমনোহারপুর জামে মসজিদ হতে ডান দিকে পাঁচলিয়া বাজার অভিমুখী রতনকান্দি গ্রামের ভিতর দিয়ে রতনকান্দি ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় আরো ১ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার বেহাল অবস্থার পরিণত হয়েছে, সাথে বাড়ছে দিন দিন জন দূর্ভোগ।
এই ৪ টি গ্রামের জন সাধারণের এই দুইটি কাঁচা রাস্তা পাঁচলিয়া বাজার হয়ে সিরাজগঞ্জ সদরের সঙ্গে চলাচলের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম। এই কাঁচা রাস্তা দুটি ব্যবহার করে প্রতিদিন প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের কমপক্ষে ৪ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের যাওয়া আসা করতে হয়। রাতের অন্ধকারে এই রাস্তা দুইটি ব্যবহার করে মুসুল্লিদের মসজিদে এসে নামাজ আদায় করতে হয়। চলতি বৃষ্টি মৌসুমে সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তা দুটিতে হাঁটু সমান পানি হয়ে থাকে এবং অসংখ্য খানা খদক ও কাঁদার সৃষ্টি হয়। এতে করে কয়েকটি গ্রামের ধান, কাঁচামাল সবজি, মৎস খামারের মাছ, পোল্ট্রি ফ্রাম ও অন্যান্য পণ্য সামগ্রী বাজারে আমদানি করতে ভ্যান, সিনজি, পিকাপ চলাচলের ক্ষেত্রে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
সুজাপুর গ্রামের মৎস্য খামার ব্যবসায়ি মোঃ ফরিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন আমার ও আশে পাশের গ্রামের অনেক তরুন উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষত হয়ে অনেক স্বপ্ন নিয়ে গ্রামে এসে নিজেই নিজেদের কর্মসংস্থান হিসেবে মৎস্য খামার, পোল্ট্রি ফার্ম, গরু-ছাগলের খামার, কেউবা উন্নত কৃষি পণ্যে চাষে আগ্রহি হয়ে উদ্যোক্তা হয়েছেন কিন্তু রাস্তার এই বেহাল অবস্থার কারনে বার বার তাদের ক্ষতির সন্মুখীন হতে হচ্ছে, তাদের উৎপাদিত পণ্যে পরিবহন খরচ অনেক বেশি লাগছে, পাইকার ও ব্যাপারিরা কাঁচা রাস্তার কারনে সরাসরি পণ্যে কিনতে গ্রামে আসতে চায় না ফলে পণ্যের পরিবহন খরচ বেড়ে যায় তাছাড়া ও বাইরে নিয়ে মাল বিক্রি করে তারা সঠিক মূল্য পায় না এতে এই তরুন উদ্যোক্তরা এই ধরনের ব্যবসার প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছেন। তাদের দাবী অতি দ্রুত এই রাস্তা দুটি পাঁকা করা হোক তাহলে ক্রেতারা সরাসরি পিকাপ, ভ্যান নিয়ে গ্রামে প্রবেশ করতে পারবে এবং তাদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্যে ক্রয় করে নিয়ে যেতে পারবে।
৭ নং নলকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আবদুল জাব্বার সরকারের সাথে কথা বললে, তিনি জানান অনেকেই এই রাস্তা দুইটির বেহাল অবস্থার ব্যাপারে আমার নিকট কথিত অভিযোগ করেছেন এবং আমি এ ব্যাপারে অবগত আছি এবং সুজাপুর ও চকমোনহারপুর হয়ে পাঁচলিয়া বাজার অভিমুখী রতনকান্দি ব্রিজ পর্যন্ত কাঁচা রাস্তা দুটির বেহাল দশার কথা আমি উপজেলা মাসিক সভায় উপস্থাপন করবো।
সিরাজগঞ্জ-০৩ এর মাননীয় সাংসদ, অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আব্দুল আজিজ এম.পি মহোদয়, উপজেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ ও ৭ নং নলকা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট মেম্বর সহ সকলের দৃষ্টিকামনা করে গ্রামবাসী জোর দাবী জানাচ্ছেন, রাস্তাটি সংস্করণ করে জনসাধারণের চলাচলের উপযোগী করে দেওয়া হোক।